শরীরকে বিষমুক্ত করবে দই

শরীরকে বিষমুক্ত করবে দই।

শীতকাল মানেই খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, সঙ্গে পার্টি আর পিকনিক তো লেগেই রয়েছে। সব মিলিয়ে শরীরকে সহ্য করতে হচ্ছে অনেক ধকল। এই ধকলের পর নিজেকে চাঙা রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এক বাটি টক দই। এতেই মিলবে শরীরের নানান সমস্যার সহজ সমাধান।

টক দইয়ের প্রো বায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর।

সারাবছরই দই খেতে পারেন। এতে শরীর নিয়ে এতোটা চিন্তা করতে হবে না।  যেমন ধরুন প্রতিদিনই খেতে পারেন। সকালের নাস্তায়, দুপুরে, বিকেলে, সন্ধায়, রাতে।

সকালে চটজলদি ব্রেকফাস্ট বানাবেন? টক দই আর সঙ্গে কলা, আপেল, আম কিংবা পছন্দের যে কোনও ফল মিশিয়ে ঘুরিয়ে ফেলুন মিক্সারে। তৈরি আপনার ‘সুপার হেলদি ব্রেকফাস্ট’! লাঞ্চের জন্য বানাচ্ছেন চিকেন, মাটন বা ফিশ কারি। দু’চামচ টক দই ফেটিয়ে মিশিয়ে ফেলুন কারিতে। বদলে যাবে স্বাদ। ডিনারে রয়েছে রুটি-তরকারি। সঙ্গে থাকে এক বাটি রায়তা। তবে কেবল খাবারের স্বাদ বদলাতেই নয়, দইয়ের স্বাস্থ্যগুণও অনেক।

দুধের তুলনায় দই অনেক বেশি সহজপাচ্য। শরীরকে তাজা রাখতে দইয়ের কোন কোন গুণ সাহায্য করে এটা কি জানেন?

• শরীরকে ডি-টক্সিফাই মানে বিষমুক্ত করতে দইয়ের জবাব নেই। শরীরের টক্সিন যত সরবে, সুস্থতার পথে ততই এগিয়ে থাকবেন আপনি। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কিছু শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত পানি ও টক দইয়ের সাহায্যে খুব সহজেই শরীরকে বিষমুক্ত করতে পারবেন।

• তেলমশলাদার খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছেন না? খুব রুটিন মেনে চললেও একটু আধটু তেল-মশলা মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়েই যায়। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য কার্যকর। বদহজম দূর করতেও সমানভাবে কাজ করে টক দই।

• গুড কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে ও খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায় দই। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টক দই।

• শরীরে আক্রমণকারী রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করতে সহায়ক দই। কারণ দইতে আছে সক্রিয় ‘কালচার’। শরীরকে রোগমুক্ত করতে দইয়ের জবাব নেই।

• ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে টক দই অত্যন্ত কার্যকর।

• অনেক সময় নারীরা ভ্যাজাইনাল ইনফেকশনে ভোগেন। তাদের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টক দই। দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটো ব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন রোধে বিশেষ সহায়ক।

• ২৫০ গ্রাম দইয়ে প্রায় ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হাড়গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, হাড় ভঙ্গুর হতেও শুরু করে। তাই মাঝ বয়েসের পর ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টক দই।

• শরীরে মেদ জমছে? টক দই ডায়েটে রাখলে মেদের পরিমাণও কমবে।

• রূপচর্চাতেও দই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শুধু ফেসপ্যাক বানাতেই দই কাজে লাগে তা নয়, দই খেলে বাড়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও। সূত্র: আনন্দবাজার

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.