‘লবণের সংকট হওয়ার প্রশ্নই আসে না’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, লবণের দাম বাড়াতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী গুজবের সুযোগ নিচ্ছে। প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা থাকে কম-বেশি ১ লাখ টন। অথচ লবণের মজুত আছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টন। সেই হিসাবে লবণের সংকট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দামও বাড়ার কোনো কারণ নেই।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আজ হঠাৎ করেই লবণ কেনার হিড়িক পড়ে যায়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের দোকানগুলোয় লবণ কিনতে প্রচুর মানুষের ভিড় দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় ক্রেতারা বলেছেন, তাঁরা শুনেছেন লবণের কেজিপ্রতি দর ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ আশঙ্কায় তাঁরা বাড়তি লবণ কিনে রাখছেন। এ ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশে পর্যাপ্ত লবণ মজুত আছে। ঘাটতির কোনো কারণ নেই।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বাজার তদারকের নির্দেশ দিয়ে আজ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাকে জেল দেওয়ার দরকার তাকে জেল দিন, যাকে জরিমানা করা দরকার তাকে জরিমানা করুন। লবণের দাম যেন ঠিক থাকে।’
আজকের সংবাদ সম্মেলনে পেঁয়াজ নিয়েও কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, পণ্য বহনকারী উড়োজাহাজে করে আসা পেঁয়াজ সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বিক্রি করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়েই এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।
বিদেশে একটি সম্মেলনে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই দেশে ফিরে এসেছেন জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে বিপদে আছেন তিনি। তবে কিছুটা স্বস্তির বিষয় যে দাম কমে আসছে। ২০, ২১, ২২ ও ২৫ ডিসেম্বর পাঁচটি আলাদা উড়োজাহাজে করে প্রায় ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। এদিকে দেশি পেঁয়াজও বাজারে উঠছে। আমদানি করা পেঁয়াজ দেশজুড়েই বিক্রি করা হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।