‘অপ্রতিরোধ্য ভারতকে থামানোর সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের’

‘অপ্রতিরোধ্য ভারতকে থামানোর সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের’

ঘরের মাঠে ভারত শেষ টেস্ট হেরেছিল প্রায় তিন বছর আগে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া পুনেতে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে।

এরপর ঘরের মাঠে টানা ১২ টেস্টে হারের মুখ দেখেনি ভারত। এ সময়ে ম্যাচ ড্র করেছে মাত্র তিনটি। বাকি ৯টিতে ভারতকে থামাতে পারেনি কেউ। এর আগেও ভারতের রেকর্ড বেশ ঈর্ষণীয়। ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারত সাদা পোশাকে দেশের মাটিতে কোনো টেস্ট হারেনি। ২০ টেস্টে ভারতের ম্যাচ ড্র মাত্র তিনটিতে। বাকি ১৭ টেস্টে ভারত উড়িয়েছে বিজয়ের পতাকা।

এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তানেরই কেবল ভারতে টেস্ট জয়ের রেকর্ড আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৩ ম্যাচে ভারতের জয় ৭টি, হার পাঁচটি। দুই দল ম্যাচ ড্র করেছে ২১টি। পাকিস্তানই ভারতে টেস্ট জিতেছে ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে। ২০০৭ সালের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে কোনো টেস্ট খেলেনি ভারত। এখানে শ্রীলঙ্কার রেকর্ডও খুব ভালো নয়। ১৯৮২ সালে ভারতে প্রথম টেস্ট খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ২০১৭ সালে। ২০ টেস্ট খেললেও ভারতে জয়ের মুখ দেখেনি লঙ্কানরা। ড্র করেছে নয় টেস্টে।

এখানে বাংলাদেশ একেবারেই নবীনতম দল। ২০০০ সালে টেস্ট খেলা শুরু করা বাংলাদেশ ইন্দোরে খেলবে দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে ভারতের আতিথেয়তা নিয়েছিল মুশফিক, সাকিবরা।

ভারত বর্তমানে টেস্টের এক নম্বর দল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও উড়ছে তারা। কিছুদিন আগে শক্তিধর দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথেয়তা দিয়ে তিন টেস্টে ভরপেট খাইয়েছে স্বাগতিকরা। প্রশ্ন উঠছে বেশ জোরেশোরেই, বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়াকে ঘরের মাঠে হারানোর সামর্থ্য আছে কার?  ঠিক এমন সময়ে বাংলাদেশ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারতের। কতোটুকু পারবে বাংলাদেশ?

ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ইন্দোরে বল গড়ানোর আগে সমীহই করলেন মুমিনুল হকের বাংলাদেশকে।

‘বাংলাদেশ এ ধরণের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত। আমার বিশ্বাস তারা ম্যাচ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়েই এসেছে এবং সেই মোতাবেক তারা খেলবে। ম্যাচে ফল পেতে আমাদেরকে নিজেদের খেলায় মনোযোগী হতে হবে। আমরা কোনো টেস্ট দলকে হাল্কাভাবে নিতে পারি না। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারকে আমরা সহজভাবে নিচ্ছি না।’

‘বাংলাদেশ যখন ভালো খেলে তখন তাদেরকে বেশ সামর্থ্যবান মনে হয়। তাদের ভালো ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য রয়েছে। প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা তাদেরকে সম্মান করি। এজন্য আমরা আমাদের খেলায় বেশ মনোযোগী।’ – বলেছেন বিরাট কোহলি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.