আরো এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’

আরো এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরো শক্তিশালী হয়ে উপকূলের কাছাকাছি এসে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে প্রায় ১৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

আজ রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে বুলবুল। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, বুলবুল আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ১২০ কিলোমিটারের আশপাশে। কোথাও কোথাও এর গতিবেগ হতে পারে ১৪০ কিলোমিটারের কাছাকাছি।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূলে যখন আঘাত হানবে, সেই সময় নদ-নদী এবং সাগরে জোয়ার থাকবে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা বেশি হবে। এজন্য উপকূলের আট জেলা- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা ও চাঁদপুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগু̧না, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বুলবুল আজ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদধবন্দর থেকে ৪৪৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্য রাত নাগfদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

ভারেতর পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলােদেশর খুলনা উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দেশের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে যাবে। এর প্রভাবে  আগামীকাল রোববার ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগু̧না, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ১০০-১২০ কি.মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বুলবুলের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ নয় নম্বর মহবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.