নিজের সঙ্গে কথা বললে বাড়ে বুদ্ধি!

নিজের সঙ্গে কথা বললে বাড়ে বুদ্ধি!

দিবা কার সঙ্গে যেন কথা বলে। কথাগুলো এমন, আজ এই ড্রেসটাই পরি? হুম পরতে পারি, বেশ লাগবে। অফিসের পরে কফি খেতে যাব, না থাক আজ ঘরে ফিরে অনেক কাজ। অন্য কোনো দিন।

তার কথা শুনে মনে হয়, সে কাউকে বুঝিয়ে বলছে, কোনো কাজ করতে, কখনো কাজটি করা হয়ে উঠছে না, তখন তাকে না হওয়ার কারণগুলোও বলে দিচ্ছে। দিবা আসলে অন্য কারো সঙ্গে নয়, নিজের সঙ্গেই কথা বলেন।

নিজের সঙ্গে কথা বলার প্রবণতা আমাদের অনেকের মাঝেই রয়েছে। আশেপাশের বন্ধুরা এটা নিয়ে হাসাহাসিও করে অনেক সময়। কিন্তু জানেন কি? গবেষণা বলছে বুদ্ধিমত্তায় আপনি বেশ ওপরের দিকেই, তাই অন্যের হাসাহাসিতে বিব্রত হওয়ার কিছুই নেই।

আমেরিকার ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সবার মাঝে নিজের সঙ্গে এই কথা বলাটা কোনো রোগ নয়। বরং এদের বুদ্ধিমত্তা অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই।

গবেষণায় ২৮ জন অংশগ্রহণকারীকে ভাগ করা হয়েছিল দু’টি আলাদা দলে। লিখিত নির্দেশিকা দিয়ে একদলকে বলা হয়েছিল মনে মনে তা পড়তে। দ্বিতীয় দলটি নির্দেশিকা পড়েছিল জোরে জোরে, মুখে উচ্চারণ করে। ফলাফলে দেখা যায়, মনে মনে নির্দেশিকা পড়া দলের তুলনায় দ্বিতীয় দলের কাজের মান বেশি ভালো ছিল।

গবেষণাকারী মনস্তত্ত্ববিদ ড. পালোমা মারিবেফা এই ফলাফল প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, নিজের সঙ্গে কথা বলার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে আপনি নিজের কথা শুনতে পাচ্ছেন। লিখিত নির্দেশিকার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী হলো নির্দেশ শোনা। এমনকি কোনো চ্যালেঞ্জিং কাজ করার সময় নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে, মনঃসংযোগ বাড়াতে এই পন্থা খুবই কাজে দেয়।

যারা আপনার একা একা কথা বলা নিয়ে হাসাহাসি করেছে, এবার তাদের এই প্রতিবেদনটি পড়তে দিন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.