কোনোমতে একশ পেরোলো ভারত।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সাথে দুর্দান্ত ফিল্ডিং। তাতেই ভারতীয় ব্যাটিং শিবির কোনঠাসা। বোলিংয়ে একের পর এক সাফল্যে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালের মঞ্চে ভারতকে কী লজ্জাটাই না দিল বাংলাদেশ।
প্রেমাদাসায় আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভারত অলআউট ১০৬ রানে। যুব ক্রিকেটে যা ভারতের চতুর্থ সর্বনিম্ন। অবশ্য এর থেকে কম রানে ভারতকে গুটিয়ে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। ২০০২ সালে অকল্যান্ডে পার্থিব প্যাটেলের দল অলআউট হয়েছিল ৭৭ রানে।
ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং জুনিয়র টাইগারদের। দুই পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও তানজিম হাসান সাকিব পরপর দুই ওভারে ফেরান অরুন আজাদ (০) ও তিলাক বার্মাকে (২)। পয়েন্ট থেকে সরাসরি থ্রোতে তানজিদ সাজঘরের পথ দেখান পার্কারকে (৪)। স্কোরবোর্ডে আট রান তুলতেই ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরে।
রানের চাকায় লাগাম টানেন পরের বোলাররা। ওই সময়টায় উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল ও রাওয়াত। ৪৫ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্পিনাররা বোলিংয়ে আসতেই এলোমেলো হয়ে যায় ভারতের মিডল অর্ডার।
অফস্পিনার শামীম নিজের প্রথম ওভারেই নেন দুই উইকেট। রাওয়াত ১৯ রানে এলডিব্লিউ হওয়ার পর লাভান্ডে পয়েন্টে মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে ক্যাচ দেন শূণ্য রানে। সরাসরি থ্রোতে আনকোলেকারকে রান আউট করেন মাহমুদুল হাসান জয়। শামীম ধারাবাহিক বোলিংয়ে পেয়ে যান আরও একটি উইকেট। চতুর্থ ওভারে তার সোজা ডেলিভারীতে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ভারতের অধিনায়ক জুরেল। ৫৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
ভাগ্যিস ভারতের একজন কারান লাল ছিল। নয়তো ভারত গুটিয়ে যেত একশর নিচে। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে কোনোমতে দলীয় তিন অঙ্কের দেখা পায় ভারত। মৃত্যুঞ্জয়ের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে কারান লাল করেন ৩৭ রান। আকাশ সিং অপরাজিত থাকেন দুই রানে। শেষ উইকেট জুটিতে ভারত পায় ২২ রান। নয়তো শতরানের আগে অলআউটের লজ্জা পেত ভারত।
বাংলাদেশের সেরা বোলার স্পিনার শামীম। ছয় ওভারে দুই মেডেনে আট রানে তিন উইকেট নেন তিনি। মৃত্যুঞ্জয়ের পকেটে গেছে তিন উইকেট। ৭.৪ ওভারে ১৮ রানে তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া তানজিম ও শাহীন আলম পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
যুব এশিয়া কাপের শিরোপা কখনো জেতা হয়নি বাংলাদেশের। বোলাররা ভারতকে অল্পরানে আটকে বিজয়ের পতাকা ওড়নোর সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। এবার কাজটা ব্যাটসম্যানদের। তারা জ্বলে উঠলে প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলবে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে একবারই বাংলাদেশ নারী দল এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল। সাকিব, তামিমরা দুবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেননি।