বেসরকারি হজযাত্রীর বিমানভাড়া ১০ জুনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ

hazzচলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী হিসেবে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন তাদের বিমানভাড়া ১০ জুনের মধ্যে সরকারের ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক সংক্রান্ত একটি চিঠি হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) বেগম হাসিনা শিরীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে (স্মারক নং-১৬.০০.০০০০.০০৩.১৮.০০৬.১৪-৭২১) বলা হয়েছেÑ হজ এজেন্সি মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানো যাচ্ছে, ২০১৫ সালের বেসরকারি ব্যবস্থাপনার সব হজযাত্রীর কাছ থেকে বিমানভাড়া, মক্কা-মদিনার বাড়িভাড়া, সৌদি মোয়াল্লেমের চার্জ, অতিরিক্ত তাঁবু চার্জ, খাওয়ার টাকাসহ হজ প্যাকেজ অনুযায়ী টাকা আদায়পূর্বক বিমান ভাড়ার টাকা ১০ জুনের মধ্যে সরকারি ব্যাংক হিসেবে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

হজ অফিস সূত্রমতে, ২০১৫ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জনসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। গত ৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২০১৫ সালের জন্য দুটি আলাদা হজ প্যাকেজের অনুমোদন দেওয়া হয়। হজ প্যাকেজ-১-এর মূল্য ধার্য করা হয় খাবার খরচসহ ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৫ টাকা এবং হজ প্যাকেজ-২-এর মূল্য ধার্য করা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। প্যাকেজ অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীকে মোয়াল্লেম ফি, বিমানভাড়া ও স্থানীয় সার্ভিস চার্জসহ এক লাখ ৫১ হাজার ৬৯০০ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীকে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকা দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফির সঙ্গে বিমানভাড়ার টাকা অগ্রিম দিয়ে হজযাত্রীর নিবন্ধন করতে নারাজ এজেন্সি মালিকরা। এরপরই বিষয়টি সুরাহ করতে হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব আবেদন করে সরকারের কাছে। সরকার হাবের ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারি হজযাত্রীর জন্য ৫১ হাজার ৬৯০ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকা নির্ধারণ করে মন্ত্রিসভা কমিটি। হাব নেতারা সরকারের ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। তারা হজযাত্রীর নিবন্ধনকালে মোয়াল্লেম ফি বিমানভাড়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (হজ) ফয়জুর রহমান ফারুকী বলেন, ২০১৫ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জনসহ মোট এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। কিন্তু সরকারি হজযাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজারের মধ্যে পাওয়া গেছে দুই হাজার ৭০০ জন। সরকারি হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারিত কোটা থেকে ৭ হাজার ৩০০ জন কম হওয়ায়, সেটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এ কারণে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের সুযোগ পাবেন প্রায় ৯৯ হাজারের বেশি। হজ প্যাকেজ অনুযায়ী বেসরকারি হজযাত্রীর বিমান ভাড়ার টাকা আগামী ১০ জুনের মধ্যে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। আমরা টাকা জমা দেওয়ার জন্য হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠনকে হাবকে চিঠি দিয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.