‘ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় কিমের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়নি’
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাতেও যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া দেশটির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুনের বৈঠকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা না করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিম জং উন। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে স্থগিত আলোচনা ফের শুরু করার ব্যাপারেও কথা দেন তিনি। বোল্টন বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুইবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় সেই প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন হয়নি।
তবে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরুর ব্যাপারে এখনও কিছু বলেনি পিয়ংইয়ং। এ ব্যাপারে উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বোল্টন।
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে গত বছরের জুনে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। প্রথমে সিঙ্গাপুর শীর্ষ বৈঠক।
এরপর চলতি বছর ভিয়েতনামের হ্যানয় বৈঠক। কিন্তু বৈঠকগুলো কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ গত মাসে তৃতীয় বৈঠক করেন ট্রাম্প ও কিম। তৃতীয় বৈঠকটি পূর্বনির্ধারিত ছিল না। হঠাৎ আয়োজিত হলেও সেটি ছিল নাটকীয়তা আর উত্তেজনায় ভরা। পর্যবেক্ষকেরা বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা আবার শুরুর বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে বাদ দেয়ার দাবি জানায় উত্তর কোরিয়া।
এরপরও ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় মার্কিন দলের নেতৃত্ব দেবেন পম্পেও। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কারা নেতৃত্বে থাকবেন, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কিমকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। ওই বৈঠকের এক মাস পরই চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া।
পশ্চিম উপকূলে পরপর দুটি স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে যখন সবার মনে প্রশ্ন, তখনই আবার দুটি মিসাইল উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া।