ফের আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

ফের আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে কয়েক দফা আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আলোচনায় অগ্রগতি হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি বিশ্বের বৃহত্তম দেশ দুটি। এবার একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে চীনে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। বেইজিংয়ে আলোচনায় বসবে দুই দেশের প্রতিনিধি। খবর: বিবিসি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিজার ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হি’র সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বেইজিংয়ে বৈঠক করবেন। এ বৈঠকের পরের সপ্তাহে লিউ হি’র নেতৃত্বে একটি দল ওয়াশিংটনে যাবে। আশা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই এপ্রিলের আগে বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বহুদিন ধরেই বৈরী সম্পর্কের মধ্যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়। একে অন্যের ওপর কয়েক বিলিয়ন ডলার শুল্কারোপ করে বাণিজ্যযুদ্ধের দিকে এগিয়ে গেছে তারা। উভয় দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব বুঝতে পেরে এ বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে আলোচনা শুরু করে দুই দেশ।
সম্প্রতি আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসে জি-২০ সম্মেলনে ৯০ দিনের জন্য বাণিজ্যযুদ্ধ স্থগিতে একমত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, যা ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। অর্থাৎ ১ মার্চের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে দেশ দুটিকে। যদি সেটা না হয়, তাহলে নতুন করে শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনও পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু সর্বশেষ বৈঠকে আলোচনা ইতিবাচক হলে ট্রাম্প তার দেওয়া এ হুমকি থেকে সরে আসেন। তিনি বলেছেন, এ সময়সীমা আরও কিছুদিনের জন্য বাড়াবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। উভয় দেশই পরস্পরের পণ্য আমদানিতে হাজার হাজার কোটি ডলারের শুল্কারোপ করেছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বের আরও অনেক দেশের ওপর। ফলে তারা বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা কমিয়ে নিয়ে আসতে উভয় দেশের ওপর চাপ রয়েছে। নিজ দেশের অভ্যন্তর ছাড়াও মিত্র দেশগুলো থেকে এ চাপ আসছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.