যেসব পানীয় দূর করে অনিদ্রা

যেসব পানীয় দূর করে অনিদ্রা।

আগের রাতে কতটুকু সময় ঘুমিয়েছেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনার পরের দিনের কর্মক্ষমতা। রাতে ভালোভাবে ঘুম না হলে দিনে তার প্রভাব পড়বেই। অনেক দেরিতে ঘুম এলে বা বারবার ঘুম ভেঙে গেলে আপনার স্বাস্থ্য খারাপ হতে বাধ্য। দিনের কাজগুলোও তখন ভালোভাবে করতে পারবেন না।

ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দু’ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে নিন, ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস থাকলে সেটাও সেরে ফেলুন দুই-আড়াই ঘণ্টা আগেই। বিছানায় শোওয়ার আগে খুব ভালো করে চাদর ঝেড়ে নিন একবার। টানটান করে পাতা বিছানা দেখলে অনেকের স্ট্রেস কমে যায়।

ডিফিউজার জ্বালিয়ে তার মধ্যে লেমনগ্রাস বা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন, তা-ও স্নায়ুগুলোকে শান্ত করবে। দূরে থাকুন আলো বিচ্ছুরণকারী যে কোনো গ্যাজেট থেকে, ঘরের আলো মৃদু করে দিন। এসবে কাজ না হলে রয়েছে আরেকটি উপায়। এমনকিছু পানীয় রয়েছে যা পান করলে আপনার ঘুম চলে আসতে বাধ্য। জেনে নিন-

হলুদ মেশানো দুধ: রাতে শোওয়ার আগে হালকা গরম দুধ পান করে অনেকেই নিশ্চিন্তে নিদ্রা যান। দুধে খানিকটা কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে নিন, আরও ভালো ফল পাবেন। যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তারা নারিকেল, সয়াবিন বা আমন্ড দুধ খেতে করতে পারেন। হলুদের গন্ধ ভালো না লাগলে আদা বা দারুচিনি দিয়ে খেতে পারেন, তাতেও কাজ হবে।

আমন্ড বাটার স্মুদি: সয়াবিনের দুধ, আমন্ড বাটার আর একটি পাকা কলা একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিন। এই স্মুদি আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে, সেইসঙ্গে তিনটি উপকরণই ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ায় ভালো ঘুম হবে।

ক্যামোমাইল/ ল্যাভেন্ডার/ লেমনবাম চা: ক্যামোমাইল বা ল্যাভেন্ডারের মৃদু ফ্লেভার ঘুম নিয়ে আসে। রাতে শুতে যাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে এক কাপ উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ক্যামোমাইল চায়ের দু’টি টি-ব্যাগ। পাঁচ-ছয় মিনিট পর টি ব্যাগ তুলে নিয়ে মেশান এক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল। লেমনবাম চা বানিয়ে নিন প্যাকেটে দেওয়া নির্দেশিকা অনুসারে।

চেরির জ্যুস: একমুঠো দানা বের করে নেওয়া চেরি, এক টেবিলচামচ মধু আর এক কাপ জল ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তার পর ছেঁকে নিয়ে পান করুন এই রস। চেরির রস একটু টক হলেও অসুবিধে নেই, খুব কাজে দেয় তা।

যেসব পানীয় এড়িয়ে চলবেন

কফি: আপনি সাধারণত রাত ১১টা নাগাদ ঘুমোতে যান? তাহলে বিকেল পাঁচটার পর আর কফি খাওয়া উচিত নয়। ক্যাফেইন রক্তে মিশে থাকে অনেকক্ষণ, তা কিছুতেই ঘুম আসতে দেয় না।

সোডা বা কোলাজাতীয় পানীয়: যেহেতু এই ধরনের পানীয়ে প্রচুর চিনি থাকে, তাই খাওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই আপনার শরীর জুড়ে এনার্জির বান ডাকবে। ফলে ঘুমের বারোটা বাজা নিশ্চিত। তাছাড়া অতিরিক্ত সোডা আপনার হজমে বিঘ্ন ঘটায়, গলা-বুক জ্বালার সমস্যাও হতে পারে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.