অস্ত্র দিয়ে দেশ দখলে নিতে চায় না তালেবান!

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আফগানিস্তানের তালেবানের নেতৃত্ব দেয়া শের মোহাম্মাদ আব্বাস স্টানিকজাই বলছেন, তালেবান অস্ত্রের শক্তিতে পুরো দেশ দখল করতে চায় না, কারণ এতে আফগানিস্তানে ‘শান্তি’ আসবে না।

রাশিয়ার মস্কোতে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পন্থা। ১৯৯০ সালে আফগানিস্তানে যখন অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আমাদের সশস্ত্র যুদ্ধ হয়েছিল, তখনই আমরা উপলদ্ধি করতে পেরেছি যে, পরস্পর আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা নিরসন সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগান যুদ্ধের অবসান চায় বলে মনে করেন তালেবানের এ মুখপাত্র।

স্টানিকজাই বলেন, ‘যুদ্ধের চেয়ে শান্তি আনা অনেক কঠিন। আমরা মনে করি ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা তার কাছে সেটিই প্রত্যাশা করি। তবে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশ থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না।

মস্কোতে শান্তি আলোচনার এক অধিবেশনে শের আব্বাস বলেন, আমরা জোর করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করতে চাই না। তবে আফগানিস্তানে এখন যে আইনে চলছে,তা পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেওয়া আইন। এ আইনের শাসন আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না।

নারীদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই

নারীদের স্বাধীনতা বিষয়ে তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহণ করলে নারীদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা শরিয়ত ও আফগান সংস্কৃতির ভিত্তিতে নারীদের সব স্বাধীনতাই দিতে প্রস্তুত। তারা স্কুল,কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করবে। নারীরা চাকরিতেও অংশ নেবে। এসব ব্যাপারে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না।

২০০১ সালে মার্কিন দখলদারিত্বের আগ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৫ বছরের (১৯৯৬-২০০১) মতো ক্ষমতায় ছিল তালেবান। এরপর ক্ষমতাচ্যুত হলেও তালেবান যোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে আসছিল।। কিন্তু এই প্রথম তাদের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য এল যে, তারা সামরিক শক্তি দিয়ে দেশ দখল করতে চায় না। দেশ শাসনের চেয়ে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠাই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়।

সূত্র: দি এক্সপ্রেস নিউজ

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.