স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বিপদে আম্বার হার্ড

স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বিপদে আম্বার হার্ড।

স্বামীর নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলে বিপদে পড়তে হয়েছিল হলিউড তারকা আম্বার হার্ডকে। সম্প্রতি মার্কিন এক দৈনিকের বিকল্প সম্পাদকীয়তে তিনি লিখেছেন সে কথা। সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর কেমন প্রতিবন্ধকতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে, তা নিয়ে লিখেছেন তিনি।

আম্বার হার্ড জানিয়েছেন, ‘বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেছিল, আমাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি আর হয়তো কাজ করতে পারব না। একটা ছবির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরও আমাকে সেটা থেকে বাদ দিয়ে অন্য শিল্পী নেওয়া হয়েছিল। দুই বছর ধরে একটা আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রচারণা চালিয়েছিলাম। সেই প্রতিষ্ঠানটিও আমাকে বাদ দিয়ে দেয়। এত কিছুর পরও “জাস্টিস লিগ” ও “অ্যাকুয়াম্যান” ছবির চরিত্রে কাজ করেছি আমি।’
আম্বার হার্ডের সাবেক স্বামী জনি ডেপ এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ঘরের মানুষের ক্ষতি করে কেউ? আমার মতো মানুষের পক্ষে সেটা সম্ভব?’

গৃহবিবাদের জের ধরে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন আম্বার হার্ড। তার পর থেকেই নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। তিনি জানিয়েছেন, জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর থেকে নিয়মিত মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে দফায় দফায় মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এ কারণে প্রতি সপ্তাহে ফোন নম্বর বদলাতে হয়েছে আমাকে। এক মাসের বেশি সময় আমাকে ঘরের বাইরে কাটাতে হয়েছে। এ সময় আমার পেছনে ড্রোন ক্যামেরা লেগে ছিল। হেঁটে, মোটরবাইকে বা গাড়িতে করে পিছু নিয়েছিল ফটোগ্রাফার।’
তিনি বলেন, ‘একটি ট্যাবলয়েড বিশ্রীভাবে আমার ছবি প্রকাশ করেছিল। মনে হচ্ছিল আমার জীবন ও জীবিকা মানুষের হাতে, আমার নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণে নেই।’

কিন্তু নিবন্ধে সেসব লেখার কারণ কী? আম্বার জানিয়েছেন, যে নারীরা নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন, তাঁদের সমর্থন দিতে হবে। তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।

২০১৫ সালে বিয়ে করেন হলিউড তারকা জনি ডেপ ও আম্বার হার্ড। বিয়ের ঠিক পরের বছর শুরু হয় তাঁদের সংঘাত। নির্যাতনের মামলা ঠুকে মাত্র ১৫ মাসে সংসারের ইতি টানতে চান আম্বার হার্ড। ২০১৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দ্য ইকোনমিক টাইমস

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.