পেনাংয়ের ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম। রোববার পেনাংয়ের হোটেল গ্রান্ড সেলুনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত শ্রমিক ও কমিউনিটি নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ কূটনৈতিক দক্ষতার ফলশ্রুতিতে দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটেছে। আর এ কারণেই ‘জি-টুজি-প্লাস’ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি ফের শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে এদেশে আরও শ্রমিক আসবে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন আলাপের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি কর্মীদের জন্য সাময়িক ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুর প্রক্রিয়া চলছে।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মী সেদেশেই কাজের সুযোগ পাবেন। তা না হলে তাদের দেশে ফিরে আসতে হতো।
সুযোগ বারবার আসে না উল্লেখ করে তিনি অবৈধ শ্রমিকদের উদ্দেশে এ সুযোগ হাত ছাড়া না করে দ্রুত বৈধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চলমান রি-হিয়ারিং ও ই-কার্ডের মাধ্যমে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করে নিতে নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মত বিনিময় সভায় প্রায় ৫০ নিয়োগকর্তাসহ উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমোডর হুমায়ূন কবির, কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম, ফার্ষ্ট সেক্রেটারি (মিনিষ্টার) রইছ হাছান সারোয়ার, ফার্ষ্ট সেক্রেটারি এম এসকে শাহীন, কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্জয় কুমার দাস।
এ ছাড়া গত ১১ মার্চ পেনাংয়ে ২ দিনব্যাপী দ্রুত মেশিন রিডাবল পাসপোর্ট (এআরপি) ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম।