শাহজালাল পরিদর্শনে আসছে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল

dhakaযুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে চলতি (মার্চ) মাসের শেষ সপ্তাহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিদর্শনে আসছে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ বিমান সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। আর তাই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে মার্চ মাসেই আসছে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল। তবে তারা কতো তারিখে পরিদর্শনে আসবেন তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।

এসব বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিমানের জনসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার শাকিল মেরাজ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইটের পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে। চলতি মাসেই (মার্চ) ইউরোপীয় একটি প্রতিনিধি দল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক পরিদর্শনে আসছে।

এবার আমরা আশাবাদী উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিরাপত্তার কোনো ইস্যুতে ছাড় দিচ্ছি না। আশা করছি ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হয়ে কার্গো ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।

যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধে এরইমধ্যে আর্থিক ক্ষতি গুনতে হয়েছে বাংলাদেশ বিমানকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কার্গো ফ্লাইটে পরিচালনার মাধ্যমে বিমানের যেখানে আয় হয়েছিলো ৩২৭ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা ১২ কোটি কমে হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা।

নিষেধাজ্ঞার ফলে শুধু যে বিমানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নয়। ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে দেশের পোশাক শিল্পকেও।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বাংলাদেশের পোশাক রফতানির বড় অংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রে। আমাদের অনেক সময় জরুরি ভিত্তিতে এয়ার শিপমেন্টে পণ্য রফতানি করতে হয়। সেক্ষেত্রে বিমানের কার্গো ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় আমাদের অন্যদেশ হয়ে পণ্য রফতানি করতে হচ্ছে। এতে খরচের পাশাপাশি বেড়েছে ব্যয়ও।

নিরাপত্তা ইস্যুতে যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো ত্রুটি না পায় তাই আঁটঘাট বেঁধে কাজ করেছে বাংলাদেশ বিমান। বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, অতিসত্বর যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা দূর করার জন্য বিমান নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কার্গো হাউজের সর্বত্র লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। হাউজের জনবলও বাড়ানো হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আসে আমেরিকান রেড লাইন নামে একটি কোম্পানি।

২০১৬ সালের ৯ মার্চ নিরাপত্তা ইস্যু দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.