পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নাকচ কানাডীয় আদালতে, আসামিরা খালাস

Padma-Bridge-sm20170211082739পদ্মাসেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি কানাডিয়ান আদালত। তাই এই দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি। এরা হলেন- এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী ভূঁইয়া।

কানাডিয়ান সংবাদপত্র দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল শুক্রবার জানায়, পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই এই মামলার বিবাদী সাবেক সিএনএস কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন কানাডায় অন্টারিওর আদালত।

এসএনসি লাভানিল অফিসপদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে এ প্রকল্প থেকে ঋণ প্রত্যাহার করেছিল বিশ্বব্যাংক। বৃহৎ এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের নেতৃত্বে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) ও জাপানি সহযোগী সংস্থা জাইকাও অর্থায়নে রাজি হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহারের ফলে তারাও এ প্রকল্প থেকে সরে যায়।

অন্টারিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ইয়ান নরডেইমার আদেশে বলেন, মামলায় যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তা অনুমানভিত্তিক, বানানো গল্প ও গুজবভিত্তিক।

আদালতের এ রায়টি হয় গত জানুয়ারিতে। তবে শুক্রবারই তা প্রকাশিত হয়।

পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের মধ্যে এ সেতু নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.