কক্সবাজার বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে

menon-bg20161125114928কক্সবাজার থেকে: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রেল যোগাযোগ চালু করতে পারলে কক্সবাজার বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে।’

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজারের ‘রয়েল টিউলিপ সি-পার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’তে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) বার্ষিক সম্মেলন ‘পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার ফোরাম-২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

কক্সবাজার শুধু সমুদ্র সৈকত নয়। এর সঙ্গে নতুন-নতুন আরও বিষয় যুক্ত করে পর্যটনস্থান হিসেবে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায়, এ সম্মেলন থেকে সে বিষয়ে একটি সুপারিশ বেরিয়ে আসবে বলে জানান রাশেদ খান মেনন।

বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশের পর্যটন বিষয়ক নীতি-নির্ধারক, পযর্টন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, পযর্টন সংশ্লিষ্ট স্টোক হোল্ডার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ২৪২ জন সেমিনারে অংশ নেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অনেক ডেলিগেটস অংশ গ্রহণ করেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তারা বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখেছেন। তারা কিছু নতুন-নতুন বিষয় খুঁজে পেয়েছেন। যেমন এখানে ট্র্যাকিংয়ের প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে। ডিজিটাল গেমসের সম্ভবনা রয়েছে, যার জন্য পানির প্রয়োজন। এছাড়া ওয়াইল্ড লাইফ ওয়াচিংয়ের সম্ভবনার কথা দেশি-বিদেশি ডেলিগেটসরা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা গত বছর বিচ কার্নিভালের মধ্যদিয়ে পর্যটন বর্ষ শুরু করেছিলাম। আগামী ২০১৮ সালে এই পর্যটন বর্ষ শেষ হবে। পর্যটন বর্ষকে ঘিরে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এবার এই সম্মেলন করা হচ্ছে। এটি আমাদের দেশের জন্য বড় অর্জন। আমরা চাই গার্মেন্টস সেক্টরের পরেই রাজস্ব অর্জনের দিক দিয়ে পর্যটন সেক্টর সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দর যখন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হবে। একই সঙ্গে যখন রেল যোগাযোগ চালু হবে, তখন পর্যটকরা সরাসরি এখানে চলে আসবেন। তখন কক্সবাজার বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করবে।

m-120161125120323‘এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিলো কক্সবাজারে কিছু পরিচিত, অপরিচিত স্পট আন্তর্জাতিকভাবে ব্রান্ডিং করা। আমরা ইতোমধ্যে মহেশখালী ও রামু এলাকায় ডেলিগেটসদের দেখিয়েছি। তারা কিছু সুপারিশ দিয়েছে যেগুলো নিয়ে কাজ করলে এটা একটি টেকসই ব্রান্ডিং হবে’- যোগ করেন রাশেদ খান মেনন।

পর্যটন সেক্টরের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে করে মন্ত্রী বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছি। এটি বাস্তবায়িত হলে এই সেক্টর অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অপরিকল্পিত হোটেল, রিসোর্ট বা স্থাপনা সম্পর্কে মেনন বলেন, আমাদের এতো দিন আইনি প্রক্রিয়ায় কতগুলো বাধা ছিলো। এখন কক্সবাজারকে দেখবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই আইনি বাধাগুলো দূর হওয়াতে এখন আমরা অনেক কাজ করতে পারবো। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো দূর করতে যত কঠোর হতে হয়, যত নির্মম হতে হয় আমরা হবো।

দিনব্যাপী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু জোনস, ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (ইউএনডব্লিউটিও) এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক রিজিওনাল ডিরেক্টর জু জিং প্রমুখ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.