সিটিসেল কর্মীদের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিটিসেলের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। কর্মবিরতি শেষে একটি সংবাদ সম্মেলন করারও কথা রয়েছে। তারা দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের ৩ থেকে ১৩ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সিটিসেল কর্মীরা এখন বকেয়া বেতন, বোনাস, এলএফএ, প্রবিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটিসহ নিজেদের সকল পাওনা পরিশোধ করার জন্য আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিটিসেলে স্থায়ীভাবে কর্মরতদের সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৭ মাসের বেতন বাকি রয়েছে। এছাড়া যাদেরকে অস্থায়ী বা আউটসোর্সিং করে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের প্রায় ১৩ মাসের বেতন বাকি। এসব বিষয় নিয়ে এর আগেও মানববন্ধন করেছিল সিটিসেল কর্মীরা। সম্প্রতি এসব পরিস্থিতিতে প্রায় ২৭ জন কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। তবে তাদের কবে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে সেসব ব্যাপারেও কোন নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (পিবিটিএলইউ) সভাপতি আশরাফুল করিম বলেন, ‘সিটিসেল নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আমাদের জন্য এখন একটি এক্সিট প্ল্যান দরকার। ৫ বছরের মূল বেতনসহ আমাদের এই এক্সিট প্ল্যান দেওয়ার জন্য ম্যানেজমেন্টের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে ১৭ আগস্ট বকেয়া বেতন, ক্ষতিপূরণসহ ৭ দফা দাবীতে মানববন্ধন করে সিটিসেল কর্মীরা। তখন সাত দফা দাবির মধ্যে ছিল, চার মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান, ঈদের বোনাস প্রদান, প্রফিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা প্রদান, গ্র্যাচুইটি প্রদান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ বছরের পূর্ণাঙ্গ বেতন-ভাতা প্রদান, কর্তনকৃত কর সদন প্রদান অথবা সমপরিমাণ অর্থ ফেরত এবং এলএসএ বোনাস প্রদান। তিনি বলেন, আগামী ২২ আগস্টের মধ্যে আমাদের সব দাবি মেনে নিতে হবে।