বাড়ছে জনশক্তি রপ্তানি নতুন শ্রমবাজার রাশিয়া

imagesবিদেশে জনশক্তি রপ্তানির হার গত বছরের চেয়ে এ বছর বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৮ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। এ হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজারেরও বেশি কর্মী বিদেশে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চাহিদাপত্র (ডিমান্ড লেটার) দিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া খুব শিগগিরই সৌদি আরবে গৃহকর্মীর (নারী) পাশাপাশি তাদের সঙ্গে একজন করে নিকটাত্মীয় পুরুষকর্মীও যাওয়া শুরু করবে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, গত বছর (২০১৫) ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮১ জন (প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি) কর্মী বিদেশে গেছেন। যা ২০১৪ সালের চেয়ে বেশি। ২০১৪ সালে বিদেশে যান ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন। তার আগের বছর (২০১৩) বিদেশে গেছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ২৫৩ জন। বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে চলতি এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত (বাকি কয়েক দিনের হিসেবে আসেনি) মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৫২ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে গেছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৬৩ হাজার ৯৯৮ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৬২ হাজার ২৪ জন এবং ৬৪ হাজার ৮৪৬ জন বিদেশে গেছেন। চলতি এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত বিদেশে গেছেন আরো সাড়ে ৫ হাজার কর্মী। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ কর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে নারীকর্মী রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। জনশক্তি সবচেয়ে বেশি গেছেন ওমানে ৫০ হাজার ১১০ জন। এর পর যথাক্রমে কাতারে ৩৫ হাজার ২৬৫ জন, সৌদি আরবে ৩০ হাজার ৭২০ জন, মালয়েশিয়ায় ২৩ হাজার ৯৫৪ জন, সিঙ্গাপুরে ১৪ হাজার ৯৩৭ জন, বাহরাইনে ১২ হাজার ১০৪ জন, জর্ডানে ৬ হাজার ৭৭৫ জন, কুয়েতে ৪ হাজার ৯২২ জন, লেবাননে ৪ হাজার ৫০৬ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২ হাজার ৪৯৬ জন কর্মী গেছেন। এ ছাড়া অল্প পরিসরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাকি কর্মী গেছে। তবে পর্যাপ্ত ভিসা অনুমোদন থাকার পরও যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় কর্মী প্রেরণ কয়েক মাস হলো বন্ধ রয়েছে। কর্মী যায়নি সুদানেও। কর্মী যাওয়ার হার ঠিক থাকলে চলতি বছরে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি জনশক্তি রপ্তানি হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের পুরো বছরে যেখানে মালয়েশিয়ায় ৩০ হাজার ৪৮৩ জন কর্মী গেছেন, সেখানে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই দেশটিতে কর্মী গেছে (জানুয়ারি-মার্চ) ২৩ হাজার ৯৩৯ জন। একইভাবে গত বছরের চেয়ে ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে উল্লেখযোগ্য হারে কর্মী প্রেরণ বেড়েছে। চলতি বছরে জনশক্তি রপ্তানির হার বেড়েছে উল্লেখ করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কর্মসংস্থান ও শ্রমবাজার গবেষণা সেল) মো. আবদুর রউফ বলেন, নতুন শ্রমবাজারের সন্ধানে আমরা কাজ করছি। কোন দেশে কি ধরনের কর্মী লাগবে তা দেখা হচ্ছে। সেভাবে আমাদের শ্রমবাজার গবেষণা সেল কাজ করছে। বাংলাদেশের শ্রমবাজারের সঙ্গে রাশিয়া নতুন করে যুক্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রাশিয়া হতে দুইশ-দুইশ করে মোট চারশ জনের ডিমান্ড লেটার পাওয়া গেছে। গার্মেন্টস, কনস্ট্রাকশনসহ জেনারেল (বিভিন্ন) খাতে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এসব কর্মী যাবে। এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছর সৌদি আরবের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলেও গৃহকর্মীই (নারী) বেশি যাচ্ছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.