হজ ২০১৯: বাংলাদেশের পাঁচ প্রস্তাবে সম্মতি সৌদি আরবের

হজ ২০১৯: বাংলাদেশের পাঁচ প্রস্তাবে সম্মতি সৌদি আরবের.

বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর দেয়া পাঁচ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বিনতান। রোববার ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রীর সঙ্গে মক্কায় তার সভাকক্ষে সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উত্থাপিত পাঁচটি বিষয় হল বাংলাদেশি বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর হজযাত্রী সংখ্যা ন্যূনতম ১৫০ জন থেকে ১০০ জনে নামিয়ে আনা, মক্কা, মিনা ও আরাফাতে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের উন্নত মানের পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা, মিনায় দ্বিতলবিশিষ্ট খাটের ব্যবস্থা না করা, সৌদি আরবের পরিবর্তে বাংলাদেশে হজযাত্রীদের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা এবং বাংলাদেশের জন্য আরও দুই হাজার হজযাত্রীদের কোটা বৃদ্ধি করা।
বৈঠক সৌদি হজমন্ত্রী এসব বিষয় ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সুপারিশগুলো নিজ দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস দেন। এর আগে হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মিনায় দ্বিতল খাটের ব্যবস্থা করছে সৌদি সরকার। সেটি বাস্তবায়ন হলে প্রত্যেক হজযাত্রীকে আরও ৪-৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হাব মহাসচিব এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর সর্বনিম্ন সংখ্যা ১০০ করার বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ সম্মতি জানিয়েছে। মিনায় দ্বিতল খাটের বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে।

তাছাড়া হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। মিনা আরাফা মুজদালিফায় হজযাত্রীদের সেবা নিশ্চিতকরণ এর বিষয়ে একমত হয়েছেন। একাধিকবার হজ ও ওমরা পালন ইচ্ছুকদের অতিরিক্ত ফি মওকুফসহ ইত্যাদি বিষয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ধর্ম সচিব আনিছুর রহমান, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, জেদ্দার কনসাল জেনারেল এফএম বোরহান উদ্দিন, মাসুদুর রহমান, আবুল হাসান প্রমুখ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.