মিয়ানমারে পাইলটের দক্ষতায় রক্ষা পেল আরেকটি উড়োজাহাজ ও যাত্রীরা

মিয়ানমারে পাইলটের দক্ষতায় রক্ষা পেল আরেকটি উড়োজাহাজ ও যাত্রীরা।

পাইলটের দক্ষতায় এবার মিয়ানমারে রক্ষা পেলো আরেকটি বিমান ও এর আরোহীরা। দেশটির বিমান সংস্থা মিয়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের সামনের চাকা ছাড়াই যাত্রীবাহী ওই বিমানটিকে নিরাপদে রানওয়েতে অবতরণে সক্ষম হয়েছেন পাইলট। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার। এয়ারলাইন ও একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় বিপর্যয়ের ঘটনা। এর আগে গত বুধবার ইয়াঙ্গুনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় প্রচ- বাতাসের কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে আহত হন কমপক্ষে ১৭ জন আরোহী।

রোববার সকালে মান্দালয় বিমানবন্দরে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে।
এদিন এমব্রায়ার ১৯০ বিমানটি অবতরণ করে। যান্ত্রিক ত্রুটি সত্ত্বেও তা সফলভাবে অবতরণে সক্ষম হয়। তবে এবার কেউ আহত হন নি। মিয়ানমারের পরিবহন ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব উইন খান্ত বলেছেন, এক্ষেত্রে পাইলট একটি মহৎ কাজ করেছেন। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

মিয়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স হলো সরকার পরিচালিত বিমান সংস্থা। তারা একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ওই বিমানটি ইয়াঙ্গুন থেকে উড্ডয়ন করে। সেখান থেকে মধ্যাঞ্চলীয় মান্দালয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অবতরণের সময় সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রসারণ করাতে সক্ষম হচ্ছিলেন না পাইলট। তিনি ক্যাপ্টেন মিয়াত মোয়ে অং। এ সময় তিনি দু’বার ওই বিমানবন্দরের ওপর দিয়ে চক্কর দেন, যাতে ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা চেক করতে পারেন যে নিচে ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ করছে কিনা। এরপর ক্যাপ্টেন জরুরি অবতরণের পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তিনি সবটুকু জ্বালানি পুড়িয়ে ফেলেন, যাতে অবতরণের সময় বিমানের ওজন কমে যায়।

এই বিমানটি অবতরণের দৃশ্য সম্বলিত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, বিমানটির রিয়ার হুইলগুলো আগে মাটি স্পর্শ করে। তারপর খুব আস্তে আস্তে নোজ বা সামনের অংশ মাটিতে নেমে আসে। বিমানের নোজ বা মাথা রানওয়ে স্পর্শ করে কিছু দূরত্ব অতিক্রম করে। এ সময় তাতে ধোয়া দেখা দেয়। অল্পক্ষণের মধ্যেই তা থেমে যায়। তারপর থেকেই ক্রুরা জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে বিমানটিতে এ সময় কতজন যাত্রী ছিলেন তা বলা হয় নি। এমব্রায়ারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ ধরণের বিমানের আসন সংখ্যা ৯৬ থেকে ১১৪।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.