ব্রেক্সিট নিয়ে আবার হার তেরেসার।
ব্রেক্সিট চুক্তি পরিবর্তনের জন্য পুনরায় আলোচনার পরিকল্পনা নিয়ে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ভোটে আবার পরাজিত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের ওই প্রতীকী ভোটাভুটিতে ভোট দেন আইনপ্রণেতারা।
প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়ে ৩০৩ এবং পক্ষে পড়ে ২৫৮ ভোট। ফলে ব্রেক্সিট চুক্তিটি পরিবর্তন করতে পারলে মে সেটি অনুমোদন করিয়ে নিতে পারবেন বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হল।
তেরেসার এ পরাজয়কে তার নিজের দলের এমপি স্টিভ বেকার ‘চায়ের কাপে ঝড়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এদিন তিনিই মূলত তেরেসার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উসকে দিয়েছিলেন। খবর বিবিসির।
ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রাসেলসের সঙ্গে পুনরায় আলোচনার পরিকল্পনায় মের নতুন করে দৃঢ় সমর্থন পাওয়ার চেষ্টাতেই এ ভোট হয়। মে তার প্রস্তাবে ৪৫ ভোটে হেরেছেন। এতে সরকারকে তার অবস্থান বদলাতে না হলেও ইইউয়ের সঙ্গে মের আলোচনা চালানো কঠিন হবে।
কারণ ইইউ নেতারা আর মের ওপর ভরসা করতে পারবেন না। যুক্তরাজ্য যাতে আয়ারল্যান্ড সীমান্তের ‘ব্যাকস্টপের ফাঁদে’ আটকে না থাকে সে চেষ্টা করছেন মে। আর সে কারণেই ইইউর সঙ্গে আলোচনা করে ব্রেক্সিট চুক্তিতে এ বিষয়টিতে পরিবর্তন আনতে চাইছেন তিনি।
২৯ মার্চ ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যর বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) কার্যকরের আগে এ বিষয়টির সুরাহা করতেই পার্লামেন্ট সদস্যদের সম্মতি দরকার ছিল মের। কিন্তু তার নিজের দল এবং বিরোধী দলেরও অনেক এমপির অভিযোগ, মে কেবল সময় নষ্ট করছেন, যাতে ব্রেক্সিটের দিন ঘনিয়ে আসে। আর পার্লামেন্ট হয় মের চুক্তিকে সমর্থন করা নতুবা কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার ভোটে পরাজয়ের পর বিরোধী দল লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রী মে কে তার ‘ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় ব্যর্থতা স্বীকার’ করে নিতে বলেছেন।