বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে জ্বালানি বাবদ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পাওনা পদ্মা অয়েল কোম্পানির। দ্রুত বকেয়া পরিশোধের জন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের মাধ্যমে বিমানকে তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বাকিতে জ্বালানি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলতি জানুয়ারি থেকে নগদ অর্থে জেট ফুয়েল কিনতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে বিপিসি আর বিমানের বকেয়ার পরিমাণে গরমিল দেখা দিয়েছে। বিপিসির পাওনার পরিমাণ এবং বিমানের পরিশোধিত অর্থের হিসাবের পার্থক্য বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ দেখিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি স্পষ্ট করতে বাংলাদেশ বিমানকে চিঠি দিতে পারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র তথ্যটি জানিয়েছে।
বিমানের কাছে জ্বালানি বাবদ গত বছরের (২০১৬) অক্টোবর পর্যন্ত নিট বকেয়ার পরিমাণ ১৫৩৯.১৬ কোটি টাকা জানিয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। জরুরি ভিত্তিতে ওই বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণসহ জানুয়ারি (২০১৭) থেকে নগদ মূল্যে জ্বালানি তেল নিতে অনুরোধ করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তথ্যে উল্লেখ করা হয়Ñ বিমানের কাছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মা অয়েল কোম্পানির পাওনা ১০৬৮ কোটি ৮৭ লাখ ২৫ হাজার ৫২৫ টাকা। আর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বকেয়ার পরিমাণ ১০৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৯২২ টাকা।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির হিসাবমতে অক্টোবর মাসে পরিশোধ করা হয়েছে মোট ৬৭৫২.৭৯ লাখ টাকা। অথচ অক্টোবরে পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ ১০২৮৪.৩৫ লাখ টাকা উল্লেখ করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। হিসাবের এ পার্থক্য হওয়ায় মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ বিমানের কাছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।