পাকিস্তানে পালিত হলো ‘আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস’

পাকিস্তানে যে বাংলা পড়ানো হয় সেটা হয়তো জানা নেই অনেক বাঙালির। শুধু পড়ানোই নয় ভাষা দিবস উপলক্ষে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজনও হয়।

এমনটাই জানিয়েছেন করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খান।

আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এবার বাংলা ভাষার অধিকারের বিরোধিতাকারী পাকিস্তানি শাসকদের উত্তরসূরিরাও ভাষা দিবস উদযাপন করছেন।

করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খান মোবাইলে এক ভারতীয় গণমাধমে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাসরত বাংলাভাষীদের অনেকে বেশিরভাগ চলে এলেও তাদের একটা বড় অংশ পাকিস্তানে থেকে যায়।

এসব বাঙালিদের সিংহভাগ করাচিতে বসবাস করেন বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, করাচিতে বাংলাভাষীদের মোট ১৩২টি জনপদ রয়েছে।সেইসব এলাকার সড়ক কিংবা দোকানে বাংলা সাইনবোর্ডেরও দেখা মেলে।

পাকিস্তানের বাঙালিবিষয়ক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এসব বাঙালি কমিউনিটিরা ভাষা দিবস পালন করে থাকে।

অধ্যাপক জানান, ১৯৫১ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৩ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ যাত্রা শুরু করে।

বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে বাংলা বিভাগে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এখানে ইশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র ছাড়াও রয়েছেন বুদ্ধদেব বসুর মতো বাংলার বড় সব সাহিত্যিকের গল্প, উপন্যাস পড়ানো হয়।

বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি’র মতো গবেষণা যাতে শুরু করা যায় সেই চেষ্টাও চলছে বলে জানান বাংলা বিভাগ প্রধান।

করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষকরা আসেন বলে জানান তিনি।

বিভাগটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠদান ছাড়াও বাংলা ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.