আটকে গেছে বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিটের প্রথম চালান

Brahmanbaria_bg20160617185026কাগজপত্র প্রক্রিয়া, ট্রাক নির্ধারণ ও সাপ্তাহিক ছুটির ফাঁদে আটকে গেছে ভারত-বাংলাদেশ ট্রানজিটের প্রথম চালান। এতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় পণ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার (২০ জুন) মাশুলসহ ট্রানজিটের প্রথম চালান আগরতলা পৌঁছাবে বলে ধারণা করছে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর পরিদর্শক শাহ আলম  জানান, কাগজপত্রের জটিলতা, পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক নির্ধারণ না হওয়া এবং শুক্রবার বাংলাদেশের ছুটির দিন থাকায় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করা যায়নি।

শনিবার (১৮ জুন) কার্যালয় খোলা থাকলেও সব প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে না। এছাড়া পরদিন রোববার (১৯ জুন) ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার (২০ জুন) জাহাজের পণ্য আগরতলায় পৌঁছানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে আশুগঞ্জ নৌবন্দর ওয়্যার হাউজে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকল (পিআইডব্লিউটিটি) চুক্তির আওতায় ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।

বুধবার (১৫ জুন) বিকেল তিনটা ৪০ মিনিটে ভারতীয় এক হাজার চার মেট্রিক টন লৌহজাত পণ্য নিয়ে এমভি নিউটেক-৬ নামে একটি জাহাজ আশুগঞ্জ বন্দরে নোঙর করে। আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর ও আখাউড়া স্থল বন্দর ব্যবহার করে খোলা ট্রাকে করে এসব পণ্য পরিবহনের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আনবিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনের দায়িত্ব পান। এ পণ্য পরিবহনে টন প্রতি ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে মাশুল পাবে বাংলাদেশ। এছাড়া অন্যান্য চার্জসহ এই জাহাজ থেকে বাংলাদেশ পাবে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৫ টাকা।

এর আগে ‘বিশেষ মানবিক কারণ’ দেখিয়ে দু’দফায় বিনা মাশুলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক পদার্থ ও খাদ্য পণ্য (চাল) ট্রান্সশিপমেন্ট করা হয়েছে। এবারই প্রথম মাশুল দিয়ে লৌহজাত পণ্য নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.