অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের

শামিম আহমেদঃ বিমান শ্রমিক লীগের দীর্ঘদিনের দাবি ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফসল পেতে যাচ্ছে বিমান ক্যাজুয়াল শ্রমিক পে গ্রুপ ১ এর সদস্যরা।

এর আগে গত ২০ মার্চ ২০১৯ রোজ বুধবার বেলা ০২ ঘটিকায় বিমান প্রধান কার্যালয় বলাকা‘র কনফারেন্স রুমে বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ)-র দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফসল ২৫ জন ক্যাজুয়াল (সি নং) কর্মচারীকে স্থায়ীকরণের চিঠি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন পরিচালক প্রশাসন, ড. পার্থ কুমার পন্ডিত, সিবিএ সভাপতি জনাব মশিকুর রহমান, সধারণ সম্পাদক মন্তাছার রহমানসহ সিবিএ-র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এতে কিছুটা বিচলিত হন বিমান ক্যাজুয়াল শ্রমিক পে গ্রুপ ১ এর সদস্যরা। কিন্তু ২ এপ্রিল বিমানের আরেক পর্ষদ সভায়  পে গ্রুপ ১ কে স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যে সকল ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকুরীর মেয়াদ ১২বছর হয়েছে তারাই স্থায়ী হবেন। পর্যায় ক্রমে এই নিয়মে বাকি সবাইকে স্থায়ী করা হবে।

বিষয়টি  বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমান নিশ্চিত করে এভিয়েশন নিউজ কে বলেন, বিমান শ্রমিক লীগ সবসময় সাধারণ কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত দাবির সাথে ছিল এবং থাকবে। বিমান ব্যবস্থাপনা ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। ২ এপ্রিল বিমানের আরেক পর্ষদ সভায় তাদের ও স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যে সকল ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের চাকুরীর মেয়াদ ১২বছর হয়েছে তারাই স্থায়ী হবেন। পর্যায় ক্রমে এই নিয়মে বাকি সবাইকে স্থায়ী করা হবে।

এদিকে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিক নেতা হানিফ মিয়া জানান, বিমান পর্ষদের সিদ্ধান্তে আমরা নিজেদের সন্তোষটি প্রকাশ করছি। এবং বিমান কর্তৃপক্ষ কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যে তারা আমাদের যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়েছেন। এর সাথে বিমান শ্রমিক লীগ এবং (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমানকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের পাশে থেকে আমাদের দাবী আদায়ের আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য।

বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিক নেতা সোহেল রানা বলেন, বিমান কর্তৃপক্ষের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই পদক্ষেপ নেয়া জন্য। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফসল পেতে যাচ্ছে বিমানের ক্যাজুয়াল শ্রমিক পে গ্রুপ ১। ধন্যবাদ জানাই বিমান শ্রমিক লীগ এবং সিবিএ র  একনিষ্ঠ সংগ্রামী মহান নেতা (সিবিএ) সভাপতি মশিকুর রহমানকে। যিনি সব সময়ে সুবিধা বঞ্চিত ক্যাজুয়াল শ্রমিক পে গ্রুপ ১ সাথে থেকে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কাধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই মহান নেতার প্রতি।

উল্লেখ্য, ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার খবর পাওয়া যায়। স্থায়ীকরণের পর শ্রমিকদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে, সেজন্য তিন সদস্যের একটি সাব কমিটিও গঠন করা হয়।

বিমানের কার্গো সার্ভিস, ট্রাফিক বিভাগ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, গ্রাউন্ড সার্ভিস, মোটর ট্রান্সপোর্ট বিভাগে ক্যাজুয়াল শ্রমিক বেশি। বিমানে প্রায় দুই হাজার ২০০ ক্যাজুয়াল শ্রমিক আছে। এর মধ্যে ৭০০ জন ১০ দিনের মেয়াদে চুক্তিতে নিয়োগ পান। বাকিরা ৮৯ দিনের চুক্তিতে কাজ করছেন যুগের পর যুগ।

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.